December of 2018 is the month of horrible memories. The World Ijtema ground in Tongi was occupied by militants.

The occupying forces got involved in the bloody Holi game. The Home Minister of the government himself was under the patronage of the occupiers. What happened that day?

Our Bengali report on those old memories.

রক্তাক্ত টঙ্গী। ফিরে দেখা ২০১৮ সালের লা ডিসেম্বর। কি ঘটেছিল?

হেদায়েতের পূন্যভূমিবিশ্ব ইজতেমাটঙ্গীর মাঠে জঙ্গিদের থাবা। রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে দখলদার বাহিনী। দখলদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় খোদ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কি তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার সরকারের জংগী কানেকশনে জড়িতহেফাজতে ইসলামএর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নিরীহ তাবলীগের সাথী ইসমাঈল মন্ডল (৭০) কে হত্যার বিষয়ে হত্যায় মামলা রুজুতে তাদের গ্রেফতারে বাঁধা হয়ে দাড়াবেন?

শহীদ ইসমাইল মন্ডল

গত বিশ্ব ইজতেমা জানুয়ারি ২০১৮ থেকেই খোদ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তথা জনাব আসাদুজ্জামান খাঁন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্লপ্ত ভূমিকায় বাংলাদেশে মূলধারার তাবলীগ নিধনে মরিয়া হয়ে উঠেছে ৭১ সালের পরাজিত হানাদার দখলদারদের দোসরহেফাজত ইসলামএর ভন্ড তেঁতুল হুজুর খ্যাত শফি, তার অনুসারী ওলামাআসসূ ফয়জুল্লাহ, খেলাফত মজলিশের ওলামাআসসূ মাহফুজুল হক, তার সহোদর বাংলার বিড়াল খ্যাত ওলামাআসসূ মামুনুল হক, ফতোয়াবাজ ওলামাআসসূ মুনসুরুল হক, চটি বাবা ওলামাআসসূ ওবায়েদুল্লাহ ফারুক, ওয়াজ মাহফিলের নামে লন্ডনআমেরিকা চষে বেড়িয়ে নিজ পকেট ভারীতে পারদর্শী জর্দাপুরী খ্যাত ওলামাআসসূ ওলিপুরী গং। যারা স্বঘোষিত পাকি আলমী শুরার বাংলার মীরজাফর হেভিওয়েট ওলামাআসসূ যোবায়ের গংদের শক্তিশালী করার এক মিশন নিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে কাজ করে যাচ্ছে। আর এদের সকলের পিছনে রয়েছে অদৃশ্য এক শক্তি। যে অদৃশ্য শক্তি পৃথিবী জুড়ে এই মোবারক মেহনত ধবংসের খেলায় মেতে উঠেছে।

যারই ধারাবাহিকতায় অদৃশ্য শক্তি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ এর বর্তমান প্রধানকে ব্যাবহার করে। ভারতের মোদী সরকারকে ঘনিষ্ট ওলামাআসসূ মুফতি খ্যাত কাজ্জাবওজাহাত কাসেমীকে দিয়ে তাবলীগের বিশ্ব আমীর হযরত মাওলানা সাদ সাব দাঃবাঃ এর বিরুদ্ধে কাটপিস বয়ান দিয়ে ফতোয়া চেয়ে এই মোবারক মেহনতের ধবংসের সূচনা করে।

অদৃশ্য শক্তি পাকিস্তানের কতিপয় ওলামাআসসূ ভারতের গুজরাট এর জনাব আহমদ লাট কে তাদের আইডল হিসাবে ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করলেও, ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজ দখলে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন কৌশল খুঁজতে থাকে। এমনকি পাকিস্তানেও তারা সুবিধা করতে না পেরে, ভারত পাকিস্তানের পর তারা বাংলাদেশ কে বেছে নেয়।

বাংলাদেশ কে ব্যাবহারে অদৃশ্য শক্তি প্রথম খুঁজে পায় নিউইয়র্ক শহরে বসবাসকারী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম ডিজিটাল আাই,ডি প্রোজেক্টের উপদেষ্টা, পরীক্ষিত তাবলীগের সাথী, সাবেক আমেরিকার নাসার প্রকৌশলী, বাংলাদেশের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকদের একজন জনাব . আবদুল আওয়াল সাহেবকে।

নিউইয়র্ক শহরে তাবলীগের সাথীদের খুবই কাছের মানুষ ছিলেন এই . আওয়াল। একই সংগে দাওয়াতের কাজের সুবাদে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। তাছাড়া . আওয়াল Bangladesh Youth Environmental Initiative (BYEI) এর Advisory Board এর সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ সরকারের সাথে রয়েছে সখ্যতা। সকল বিষয় বিবেচনায় অদৃশ্য শক্তি . আওয়ালের সহায়তায় প্রথম সফলতা পায়। শুরু হয় বিশ্ব ব্যাপী আলমী শুরার অফিসিয়াল সফলতা। পৃথিবীর মধ্যে প্রথম নিউইয়র্ক শহরের মারকাজ দখলের মধ্য দিয়ে ফেতনা বাজ আলমী শুরা তাদের কব্জায় নেয় নিজামুদ্দিনের মারকাজ মসজিদআলফালাহ ২০১৭ সালে পৃথিবীর প্রথম আলমী শুরার সফল ইজতেমাও করেন এই . আওয়াল আমেরিকার পেনসিলভেনিয়া, যেখানে মাওঃ ইবরাহীম দৌলা সাহেবকে ভারত থেকে আনা হয়। ২০১৭ সালে কানাডার অন্টারিও তে পাকিস্তানের মাওঃ তারিক জামিল সাহেবকে দিয়ে আলমী শুরার প্রথম সফল জোড় করান এই . আওয়াল। একের পর এক সফলতার পর . আওয়ালকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৭ সালের বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গীর মাঠ দখল বিশ্ব ইজতেমায় আমীর মাওঃ সাদ সাহেবের বাংলাদেশ আগমন ঠেকানোর।

. আওয়াল আমেরিকার নিউজার্সির একজন সিনেটর এর চিঠি ব্যাবহার করে 0১৭ সালের বিশ্ব ইজতেমায় আমীর মাওঃ সাদ সাহেবের ভিসা বন্ধ করার চেষ্টা করেন। কিন্ত ভিসা বন্ধ করতে না পারায় . আওয়াল বছরই হেফাজত আমীর শফি সাহেবের সাথে দেখা করেন। এবং তার নিজ ছেলের পক্ষের আত্মীয় খেলাফত মজলিশের মাহফুজুল হক মামুনুল হকদের সহ হেফাজত নেতাদের সাথে ২০১৭ সালের বিশ্ব ইজতেমা বন্ধ করার জন্য একাধিক কৌশল নেন। যেটা ২০১৭ বিশ্ব ইজতেমার পর আমেরিকা ফিরে মসজিদ আলফালাহ তে নিজ মুখে বয়ান করেন। কাজে নিউইয়র্ক শহরের দাওয়াতুল হকের মুফতি জনাব জামাল উদ্দিন তাকে সহায়তা করেন। আর একই সময়ে দাওয়াতুল হকের বাংলাদেশের আমীর মাহমুদুল হাসান সাহেবকেও ব্যাবহার করেন। জানা যায়, জনাব মাহমুদুল হাসান সাহেব নিউইয়র্ক এর মুফতি জামাল উদদীন পরস্পর আত্মীয়। আর অন্যদিকে খোদ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পীর সাহেব হলেন জনাব মাহমুদুল হক সাহেব।

ইত্যাদি বিষয় কাজে লগিয়ে ২০১৭ সালের বিফলতা ২০১৮ সালের সফলতা বয়ে আনে। রাতারাতি হিরো বনে যান আলমী গুরু . আওয়াল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাজে লাগিয়ে ভারতে ফিরিয়ে দেন ওয়ার্ল্ড আমীর মাওঃ সাদ সাহেবকে।

এই সকল ধারাবাহিকতায় আলমী শুরাওজাহাতি জোড়েরনামে মাদ্রাসার ছাএদের দিয়ে একের পর এক মসজিদ, মারকাজ দখল শুরু করে। কাকরাইল মারকাজে মাওঃ যোবায়ের সৈয়দ ওসিফুল ইসলাম কে নিষিদ্ধ করলেও, এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ পাহারায় মাওঃ যোবায়ের কে কাকরাইল মসজিদে আসা যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। একের পর এক বাধার মুখেও সরকারের উচ্চ মহল, তাবলীগের মূলধারার সাথীদের সহযোগিতা না করে, উৎসাহিত করতে থাকে হেফাজতের ছএছায়ায় থাকা আলমী শুরাদের।

এমতাবস্থায় ধর্ম মন্ত্রণালয় গত কয়েকমাস আগে একটি সুন্দর পরিপএ জারী করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরদিন পরিপএটির অকাল মৃত্যু ঘটে। কাকরাইলে জ্যামার বসানো সহ মূলধারার শুরাদের মারপিটের বিষয়েও সরকারের নিরবতা জাতিকে ভাবিয়ে তোলে।

জেলায় জেলায় সফল ইজতেমা বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুই পক্ষের সাথে মাএ কয়েক সপ্তাহ আগে বৈঠক করেন। বিশ্ব ইজতেমা সহ জেলা ইজতেমা, ওজাহাতি জোড়, ওয়াজমাহফিলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তাবলীগের মূলধারার সাথীগন সব মেনে নিলেও, ওজাহাতি জোড় চলছেই।

টঙ্গীর ময়দানে মূলধারার তাবলীগ সাথীদের দিনের জোড় বন্ধ করার জন্য মাদরাসার ছাএদের দিয়ে ওলামাআসসূ গন গত সপ্তাহ যাবত টঙ্গী মাঠ গেট বন্ধ করে পুলিশী সহয়তায় দখলদার বাহিনীর মতো দখল করে আছে, অথচ নিরহ মূলধারার সাথীগন যখন গত / দিন আগে সরকারের সহায়তা চেয়ে ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, প্রধান মন্ত্রীর সরাসরি সহায়তা কামনা করলেন, যখন দেশীবিদেশী পএিকায় বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ পেল, তার পরও সরকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরব কেন? কেন গত সপ্তাহে সরকার কোন ব্যাবস্থা নিলেন না বরং হেফাজত জংগীদের পুলিশ পাহারার ব্যাবস্থা করে দিলেন?

এসবের মানে কি? সরকারের জংগী কানেকশন হেফাজত। তাদের দিয়েই সরকার আগামীতে দেশ শাসন করতে চায়।

আমরা কি টঙ্গীর হত্যা কান্ডের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করতে পারি না?

আমরা কি হেফাজত তাদের দোসর ওলামাআসসূ দের এই হত্যা কান্ডের জন্য দায়ী করতে পারি না?

কি ভাবে . আওয়াল এই হত্যা কান্ডের দায় হতে মুক্তি পেতে পারে? বাংলাদেশে এই বিশৃঙ্খলার জন্য অন্যতম দায়ীদের একজন সে। হলিঅটিজান হত্যা কান্ডে তার নাম এলেও ভাবে সে বাদ পড়ে যায়।

তাহলে কি আমরা বলবো অদৃশ্য শক্তির কাছে দাওয়াতে তাবলীগের এই মোবারক মেহনত একদিন থেমে যাবে?

Published by tablighnews24.com

Editor & Publisher of Tabligh News 24

Leave a comment