বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কলংকিত হেফাজত ও তাদের দোষরদের তাবলীগ জামাত ও বিশ্ব আমীর নিয়ে গত ২০১৮ থেকে ক্রমাগত অপব্যাখ্যা, মিথ্যাচার, জুলুম ও বৈষম্য নিয়ে আমাদের করনীয় কি?

সম্পাদকীয় http://www.tablighnews24.com:

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। 

এটি একটি খোলা চিঠি। দাওয়াতে তাবলীগ followed by the World Markaz Nizamuddin এই বক্ত্যবের বা পরামর্শের সংগে জড়িত নয়। এমনকি বিশ্ব তাবলীগ জামাতের Headquarters Banglewali Masjid Markaz Nizamuddin Delhi এই প্রকাশনা Tabligh News 24 এর সহিত জড়িত নহে। 

কলংকিত হেফাজত তাদের দোষরঃ

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশনামের গোষ্ঠী ধর্মেরঅপব্যাখ্যা আর উগ্রবাদ উসকে দিয়ে দিন দিন দানবে পরিনত হচ্ছে। যাদের নেতৃত্বে গত ২০১৮ সালে বিশ্বতাবলীগ আমীরের মারাত্মক সম্মানহানি করা হয়।এদের এখনি রুখতে হবে। ধর্মের দোহাই দিয়ে দিন দিন এরা রূপ নিচ্ছে, ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানবে।

আমার মতে ২০১৩ সালের মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের কাহিনীর নাটক মঞ্চায়ন করা হয়েছিল সময়ের স্বৈর শাসক শেখ হাসিনা তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পরামর্শে। অবৈধভাবে পাতানো নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য বিশ্ব মোড়লদের এই যুক্তি দিয়ে বুঝানো যে, আওয়ামী সরকার না থাকলে বাংলাদেশ ইসলামী জঙ্গিদের আস্তানা হয়ে যাবে। আর তাইইসলামী জঙ্গিকার্ড খেলার নাটক রচনায়হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ”-কে মোটা টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ২০১৩ সালের মে ঘটনার জন্ম দেওয়া হয়েছিল ঠিক জাতীয় নির্বাচনের মাস আগে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষঠিত হয় এই ঘটনার ঠিক মাস পরে ১৪ জানুয়ারী ২০১৪ সালে। এর পর থেকে আর হেফাজতকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কোন রাজনৈতিক দল না হয়েও সরকারী পৃষ্টপোষকতায় বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে যে কোন রাজনৈতিক দল থেকেও সব চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছিল হেফাজত। স্বৈরচার হাসিনাকে বানিয়ে ছিল কওমী জননী!

আর এই সুযোগে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানী অপশক্তিআলমী শুরানামক একটি চক্র, সরকারের হেফাজত দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে, দেশে বিদেশী কালো টাকায় হেফাজতকে পুনর্জন্মে সহায়তা করছিল। অবৈধ পাকিস্তানী কালো টাকার শক্তিতে দেশের নিরীহ ধর্মপ্রান মানুষদের হত্যা, জখম, মসজিদ মারকাজ দখলে মরিয়া হয়ে উঠলো। ঝাঁপিয় পড়েছিল নিরীহ অরাজনৈতিক তাবলীগের উপর, যেটা আজ অবধি চলে আসছে। নিজেদের মনগড়া ধর্মের মিথ্যা অপব্যাখ্যা দিয়ে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমাকে কলংকিত করে নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছে। তাদের কিছু অপকর্ম বৈষম্যঃ

() আওয়ামী সুবিধায় গত ২০১৮ থেকে গত ২০২৪ পর্যন্ত সকল বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছে। যেহেতু নিরীহ তাবলীগ রাস্তা দঁখল, মাঠ গরম মিথ্যা হুংকার দিতে জানে না, তাই আল্লাহর দিকে তাকিয়ে প্রতিবারই সকল বৈষম্য মেনে নিয়েছে।

() বিশ্ব তাবলীগ জামাতের বাংলাদেশের সদরদপ্তরকাকরাইল মারকাজকে তারা দখলে রেখে দিয়েছে। অবৈধ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে দেশের নষ্ট পুলিশ বাহিনী সব সময় তাদের সহায়তা করেছে। এমন বৈষম্য কাকরাইল মারকাজে গত আওয়ামী সরকার চালু করে গেছে যে, হেফাজতের আশীর্বাদ পুষ্ট পাকিআলমী শুরাকাকরাইল মারকাজ তাদের দখলে রাখে সপ্তাহ আর নিরীহ তাবলীগদের আমলের জন্য দেওয়া হয় সপ্তাহ। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফসল এই নিরপেক্ষ সরকারের মাস অতিবাহিত হলেও কাকরাইল মারকাজ থেকে আজো দূর হয়নি পতিত আওয়ামী হেফাজত বৈষম্য। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালেও গত ২৩ জুলাই ২০২৪ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে দেখা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সংগে বৈঠক করে আওয়ামী সরকারের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দমনে সরকারের পক্ষ নিতে। যেটা দেশের একাধিক জাতীয় পএিকায় শিরোনাম হয়। যুগান্তরের কপি সংযুক্ত।

() দেশের সব জেলা থানাতে নিরীহ তাবলীগের মারকাজ দখল, মসজিদ থেকে দেশীবিদেশী জামাত বের করে দেওয়া। জেলা থানা পর্যায়ের ইজতেমা বন্ধ করা। সদ্য বেলাব উপজেলায় একটি ইজতেমা বন্ধের একটি পোস্টার সংযুক্ত করা গেল।

আমাদের করনীয়ঃ

() যেহেতু নিরীহ তাবলীগ অরাজনৈতিক আর আল্লাহ থেকে সব কিছুই হয় এমন বিশ্বাসে বিশ্বাসী, তাই কোন সরকারের উপর বিশ্বাস না রাখা। এমনকি এই নিরপেক্ষ সরকারও তাদের সহায়তা করবে। কারন তারা জানে জানোয়ারের মতো হুংকার দিয়ে দাবী আদায় করতে! তারা জানে রাজপথ গরম করতে! তারা জানে ধর্মের অপব্যাবহার অপব্যাখ্যা দিতে! তারা জানে রক্তের গঙ্গা বয়ে দিতে! তারা জানে ব্যবহার হতে

() আর কোন সরকারের মিটিং সিটিং তাদের সংগে এক টেবিলে না বসা। যেমন বিশ্ব ইজতেমার কোন সভাতে তাদের সংগে না বসা। এবং তাদের ঠিক কয়েক দিন আগে বা কয়েকদিন পর বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন না করা। অন্ততঃ মাস দূরত্ব রেখে সম্পূর্ণ একক ভাবে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করে অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা। এর ফলে যে কোন অনাকাংখিত দ্বন্দ্ব এড়ানো সম্ভব। যেটা ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, আরব সহ এশিয়ার পাকিস্তান, ভারত, মালায়েশিয়া সহ অনেক দেশ করে চলেছে। 

() কাকরাইল মারকাজ সহ সকল মারকাজ থেকে দূরে সরে নিজেদের উদ্দেগ্যে নতুন মারকাজ করা। যেটা বাংলাদেশ বাদে পৃথিবীর সবখানেই সুন্দর ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর তাই বাংলাদেশ বাদে পৃথিবীর সবখানেই এই দাওয়াতী মেহনত ব্যাপক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। 

বাংলাদেশ হারিয়েছে বিশ্ব ইজতেমার মর্যাদাঃ

বিশ্ব আমীরের বিরামহীন বিশ্ব সফর ক্রমাগতভাব এই কাজের মানকে বিশ্ব দরবারে অনেক উঁচুতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাইতো বিশ্ব ইজতেমার আসর গত ২০১৮ থেকে আর বাংলাদেশে নাই। এটা পরিনত হয়েছে দেশীয় ইজতেমায়। আর এটাই ছিল হেফাজতী পাকি আলমী শুরার ষড়যন্ত্র! বিশ্বের প্রতিটি মহাদেশ দেশ হয়ে উঠেছে আজ বিশ্ব ইজতেমার আসর। বাংলাদেশে গত দেশীয় ইজতেমায় সর্বোচ্চ ১০ হাজার বিদেশী অংশ নেয়। গত মহামারীর পর ২০২২ সাল থেকে নিন্ম বর্নিত বিশ্ব ইজতেমার আসর সমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে প্রতিটি বিশ্ব আসরে বিদেশী উপস্হিতি ছিল ৩০ হাজারের বেশি। বিশ্ব ইজতেমা মানের বিশ্বের সকল দেশের বিদেশী মেহমান। গত ২০১৮ থেকে বিশ্ব মেহমানেরা জেনে গেছে আমাদের তথা শেখ হাসিনা হেফাজতী চরিএ

কতিপয় পরিসংখ্যানঃ

() গত অক্টোবর ২০৩০ ২০২২ মালায়েশিয়ার বিশ্ব আসর। সর্বোচ্চ ৪০ হাজারের বিদেশী মেহমান হক ওলামাদের অংশগ্রহণে উপস্হিত ছিলেন বিশ্ব আমীর মাওলানা সাদ দাঃবাঃ। খোদ মালায়েশিয়া প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে বিশ্ব আমীরের সংগে দেখা করেন। কেন তাকে বাধা দেওয়া হলো না? মুসলিম দেশ মালায়েশিয়া কি ধর্ম জানে না?

() গত অক্টোবর ২৬৩০ ২০২৩ মরক্ক তে বিশ্ব আমীরের বিশ্ব সভায় অংশ নেয় ৩০ হাজারের বেশি বিদেশী মেহমান ওলামা। আরব ওলামাগন কেন বিশ্ব আমীরকে আসতে বাধা দিল না? আরব দেশের সকল আলেমগণ কেন বিশ্ব আমীরের সভাতে ছিলেন? কেনই বা সে দেশের উপ প্রধানমন্ত্রী এসে বিশ্ব আমীরের সংগে দেখা করলেন?

() আগামী সেপ্টেম্বর ১৮২৭ ২০২৪ তারিখে বিশ্ব আমীরের উপস্হিতিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দাওয়াতে তাবলীগের গত ১০০ শত বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ঐতিহাসিক আসর। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিন আফ্রিকা ইসলামের ইতিহাসে মুসলমানদের হিজরতের প্রথম রাজনৈতিক আশ্রয়ের দেশ আবিসিনিয়া তথা Ethiopia 🇪🇹তে ১৪০ এর বেশি দেশের ৫০ হাজারেরও বেশি বিদেশি মেহমান অংশ নিবে এই দুটি বিশ্ব ইজতেমার আসরে। অথচ দুটি দেশ আমাদের মতো মুসলিম দেশ নয়। আমরা ইজতেমা ময়দানে শুধু দেশি মানুষের শোডাউন করি!

() আগামী জুন ২৭২৯ ২০২৫ বিশ্ব ইজতেমার আসর বসবে আমেরিকার শিকাগোতে। যেটা এখনো মাস বাকী। অথচ লক্ষের উপরে বিদেশির উপযোগী বিশ্ব ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতির কাজ গত মাস আগেই শুরু হয়ে গেছে। ১০০ শতের উপরে বিদেশী জামাত কাজ করছে আমেরিকার ৫০ টি State এ। বিশাল অডিটরিয়াম মাঠ ব্যবহারের সরকারী অনুমোদনও হয়ে গেছে। এরা তো মুসলিম নয়, তাহলে আমরা কেমন মুসলিম। মিথ্যাচারই আমাদের কতিথ হেফাজতের বড় অস্ত্র! মহান মালিক আমাদের সঠিক বুজ দান করুন। 

আমার এই সত্য লেখা কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়। এটি আমার কলমী জিহাদ! অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার কলম অস্ত্র! তদুপরি কোন ভূল বা কেউ কষ্ট পেলে মাফ চাই। 

Published by tablighnews24.com

Editor & Publisher of Tabligh News 24

Leave a comment